এই তো ভালো লেগেছিল আলোর নাচন পাতায় পাতায়।

শালের বনে খ্যাপা হাওয়া, এই তো আমার মনকে মাতায়।

রাঙা মাটির রাস্তা বেয়ে হাটের পথিক চলে ধেয়ে,

ছোটো মেয়ে ধুলায় বসে খেলার ডালি একলা সাজায়--

সামনে চেয়ে এই যা দেখি চোখে আমার বীণা বাজায়॥



আমার এ যে বাঁশের বাঁশি, মাঠের সুরে আমার সাধন।

আমার মনকে বেঁধেছে রে এই ধরণীর মাটির বাঁধন।

নীল আকাশের আলোর ধারা পান করেছে নতুন যারা

সেই ছেলেদের চোখের চাওয়া নিয়েছি মোর দু চোখ পুরে--

আমার বীণায় সুর বেঁধেছি ওদের কচি গলার সুরে॥



দূরে যাবার খেয়াল হলে সবাই মোরে ঘিরে থামায়--

গাঁয়ের আকাশ সজনে ফুলের হাতছানিতে ডাকে আমায়।

ফুরায় নি, ভাই, কাছের সুধা, নাই যে রে তাই দূরের ক্ষুধা--

এই-যে এ-সব ছোটোখাটো পাই নি এদের কূলকিনারা।

তুচ্ছ দিনের গানের পালা আজও আমার হয় নি সারা ॥



লাগল ভালো, মন ভোলালো, এই কথাটাই গেয়ে বেড়াই--

দিনে রাতে সময় কোথা, কাজের কথা তাই তো এড়াই।

মজেছে মন, মজল আঁখি-- মিথ্যে আমায় ডাকাডাকি--

ওদের আছে অনেক আশা, ওরা করুক অনেক জড়ো--

আমি কেবল গেয়ে বেড়াই, চাই নে হতে আরো বড়ো ॥

রাগ: বাউল
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৬ চৈত্র, ১৩২২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৮ এপ্রিল, ১৯১৬
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই তো ভালো লেগেছিল আলোর নাচন পাতায় পাতায়।

শালের বনে খ্যাপা হাওয়া, এই তো আমার মনকে মাতায়।

রাঙা মাটির রাস্তা বেয়ে হাটের পথিক চলে ধেয়ে,

ছোটো মেয়ে ধুলায় বসে খেলার ডালি একলা সাজায়--

সামনে চেয়ে এই যা দেখি চোখে আমার বীণা বাজায়॥



আমার এ যে বাঁশের বাঁশি, মাঠের সুরে আমার সাধন।

আমার মনকে বেঁধেছে রে এই ধরণীর মাটির বাঁধন।

নীল আকাশের আলোর ধারা পান করেছে নতুন যারা

সেই ছেলেদের চোখের চাওয়া নিয়েছি মোর দু চোখ পুরে--

আমার বীণায় সুর বেঁধেছি ওদের কচি গলার সুরে॥



দূরে যাবার খেয়াল হলে সবাই মোরে ঘিরে থামায়--

গাঁয়ের আকাশ সজনে ফুলের হাতছানিতে ডাকে আমায়।

ফুরায় নি, ভাই, কাছের সুধা, নাই যে রে তাই দূরের ক্ষুধা--

এই-যে এ-সব ছোটোখাটো পাই নি এদের কূলকিনারা।

তুচ্ছ দিনের গানের পালা আজও আমার হয় নি সারা ॥



লাগল ভালো, মন ভোলালো, এই কথাটাই গেয়ে বেড়াই--

দিনে রাতে সময় কোথা, কাজের কথা তাই তো এড়াই।

মজেছে মন, মজল আঁখি-- মিথ্যে আমায় ডাকাডাকি--

ওদের আছে অনেক আশা, ওরা করুক অনেক জড়ো--

আমি কেবল গেয়ে বেড়াই, চাই নে হতে আরো বড়ো ॥

রাগ: বাউল
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৬ চৈত্র, ১৩২২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৮ এপ্রিল, ১৯১৬
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন--

আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন ॥

যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে,

সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,

তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন--

আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥

অনেক দিনের অনেক কথা, ব্যাকুলতা, বাঁধা বেদন-ডোরে,

মনের মাঝে উঠেছে আজ ভ'রে।

যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একে একে তারা,

আকাশ-পানে ছুটবে বাঁধন-হারা,

অস্তরবির ছবির সাথে মিলবে আয়োজন--

আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥


রাগ: মিশ্র ভীমপলশ্রী
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): আশ্বিন, ১৩২৫
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1918
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া

তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া

চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি

গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি।

ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা,

কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা।

ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি

চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকী--

কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়,

কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়।

আপনি আজিকে যবে শুধাইছ আসি,

কেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি॥


রাগ: বিলাতি ভাঙা
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1291
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1885
Forex learning,Forex BD,Forex news,Forex Analysis:
A letter from god to Forex A Letter from God to ...
: A letter from god to Forex  A Letter from God to Forex Traders! Hello You may have been surprised when you saw the title of the to...
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে

আমার নামটি লিখো-- তোমার

মনের মন্দিরে।

আমার পরানে যে গান বাজিছে

তাহার তালটি শিখো-- তোমার

চরণমঞ্জীরে॥

ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে

আমার মুখর পাখি-- তোমার

প্রাসাদপ্রাঙ্গণে॥

মনে ক'রে সখী, বাঁধিয়া রাখিয়ো

আমার হাতের রাখী-- তোমার

কনককঙ্কণে॥

আমার লতার একটি মুকুল

ভুলিয়া তুলিয়া রেখো-- তোমার

অলকবন্ধনে।

আমার স্মরণ শুভ-সিন্দুরে

একটি বিন্দু এঁকো-- তোমার

ললাটচন্দনে।

আমার মনের মোহের মাধুরী

মাখিয়া রাখিয়া দিয়ো-- তোমার

অঙ্গসৌরভে।

আমার আকুল জীবনমরণ

টুটিয়া লুটিয়া নিয়ো-- তোমার

অতুল গৌরবে॥

রাগ: কীর্তন
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৮ আশ্বিন, ১৩০৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1897
রচনাস্থান: সাজাদপুর
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার